মে ৩, ২০২৪

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ বার বার কথা বলেছে। কিন্তু মিয়ানমার এতে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেছেন।

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতারে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনফারেন্সের এক ফাঁকে আল-জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকারটির সংক্ষিপ্ত একটি অংশ আল-জাজিরা ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। পুরো সাক্ষাৎকারটি শনিবার (১১ মার্চ) সম্প্রচার করা হবে।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয় তাদের গণহারে হত্যা ও ধর্ষণ করা হয়। তখন আমরা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াই। সীমান্ত খুলে দিই। সীমান্ত খুলে দিয়েই আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করিনি। আমরা তাদের আশ্রয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এর পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলাম। আমরা তাদের বলেছি, রোহিঙ্গারা আপনাদের দেশের নাগরিক। তাই তাদের মিয়ানমারেই ফেরত যেতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাতে তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। তারপরও আমরা মনে করি রোহিঙ্গাদের তাদের ঘরে এবং দেশেই ফেরতে যাওয়া উচিত।’

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরি করছে। কিন্তু তা প্রত্যাবাসনের জন্য যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখাও বেশ কঠিন। এ অবস্থায় আমরা তাদের ভাসানচরে আলাদা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করেছি। থাকার জন্য তা ভালো। সেখানে আমরা তাদের থাকার ও তাদের শিশুদের জন্য চমৎকার সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচারে মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। তাই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থাকে খুব ভালো বলা যাবে না।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *