মে ৩, ২০২৪


বৈধ অনুপ্রবেশ, মারধর, চুরি ও চুরিতে সহায়তা করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার মহানগর হাকিম আলী হায়দার বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অন্য দুইজন হলেন- মোহাম্মদ বশির ও ইসমাইল হোসেন।

ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ফখরুলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে ওই বছর ১১ এপ্রিল আপিল বিভাগ সেই জামিন বহাল রাখেন।

ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলাম

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) তাদের নামে ধানমন্ডি থানায় এই মামলা করেন এস এম মহিবুল্লাহ মহিউদ্দিন।

এই মামলায় বুধবারই তাদের গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। সেই মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক লোকমান।

আসামিপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হাওলাদার, মো. আক্তারুজ্জামান প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন আইনজীবী হরে কৃষ্ণ ও মাহবুব আলম প্রমুখ।

শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর হয় তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তিনি সাভারের গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মেসির ৪৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।

গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পরে এই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থান্বেষী ও ষড়যন্ত্রকারী কিছু ব্যক্তি বাদীর প্রতিষ্ঠানটি দখল করার চেষ্টা করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার ফখরুলসহ অন্যান্য আসামিরা ৯ জুলাই ফখরুলের হুকুমে ফার্মেসির ক্যাশ থেকে ১১ লাখ ১৯ হাজার টাকা ও ২ কোটি টাকার ওষুধ নিয়ে যায়।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন ঘটনার সময় তিনি একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন। মামলায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের বর্তমান চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসাকেও আসামি করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *