মে ২, ২০২৪

২০২১ সালের ২৬ আগস্ট আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস। ওই বোমা বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনা ছাড়াও ১৭০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন।

আফগানিস্তানের স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই বোমা হামলার মূল হোতাকে তালেবান হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনাদের প্রত্যাহার করা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই সুযোগে তালেবানের যোদ্ধারা রাজধানী কাবুল দখল করে নেন। তালেবান শাসনের ভয়ে— বিদেশে পালিয়ে যেতে হাজার হাজার মানুষ কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে জড়ো হন। তখনই চালানো হয় এমন ন্যাক্কারজনক হামলা।

বোমা হামলায় নিহত এক মার্কিন মেরিন সেনার বাবা জানিয়েছেন, তাকে মেরিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার প্রধান হোতা আইএসআইএসের জ্যেষ্ঠ নেতাকে হত্যা করেছে তালেবান এবং হত্যার বিষয়টি সম্পর্কে তাদের কাছে প্রমাণও আছে।

হামলার পরিকল্পনাকারী ওই আইএসআইএস নেতাকে কয়েক সপ্তাহ আগে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে একটু সময় লেগেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। কারণ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা ও সেখানে নজরদারি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এপ্রিলের শুরুতে ওই আইএসআইএস নেতার মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে পারেন। তবে তালেবান তাকে লক্ষ্য করে হত্যা করেছে নাকি সাধারণ কোনো অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

ভয়াবহ এই হামলার আগে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ মার্কিন গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন আইএসআইএস এর তালেবান শাখা আইএস-কে বিমানবন্দরে হামলা চালাবে।

এমন হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পর এক আত্মঘাতী জঙ্গি যাত্রীবেশে নিজ শরীরে বোমা বেঁধে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

এর কয়েকদিন পর কাবুলে একটি ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা দাবি করে ওই হামলার সঙ্গে জড়িত এক জঙ্গির ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। কিন্তু পরবর্তীতে এটি ভুল প্রমাণিত হয়। মার্কিন ড্রোন হামলায় ওইদিন মূলত কয়েকটি শিশু ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

 

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *