মে ৩, ২০২৪

আমাদের প্রতিদিনের খাবারে পরিচিত একটি নাম হলো বাদাম। এর মধ্যে রয়েছে আখরোট, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি। বাদামে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বেশিরভাগ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন বেশি থাকে। প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খেলে তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। বাদাম ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের জন্য একাধিক উপকার করে। বাদাম দুইভাবে খাওয়া হয়- কাঁচা ও ভাজা। কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন-

ভাজা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

ভাজা বাদামের স্বাদ ও সুন্দর গন্ধের কারণে মুখে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। ফলে মুঠো মুঠো খেলেও অরুচি লাগে না। যেন আরও খেতে ইচ্ছা হয়। কাঁচা বাদামের তুলনায় ভাজা বাদাম হজম করা কিছুটা সহজ। তাই হজম নিয়ে ‍দুশ্চিন্তা থাকলে কাঁচা বাদামের বদলে ভাজা বাদাম খেতে পারেন।

ওজন কমাতে চাইলে

আপনি যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে তেলে ভাজা বাদাম খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। বাদাম তেলে ভাজলে তার সঙ্গে অনেকটা তেল যোগ হয়। এটি বাদামের ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর পরিবর্তে আপনি শুকনো ভাজা বা কাঁচা বাদাম বেছে নিতে পারেন।

তাপের প্রভাব

বাদাম ভাজার সময় ব্যবহৃত তাপ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। তাপের ফলে বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। সেইসঙ্গে যদি তাপে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয় বা খুব বেশিক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে থাকে তাহলে এই চর্বি নষ্ট হয়ে বাদামে কটু স্বাদ এবং গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।

ঘরেই ভেজে খান

আপনি যদি ভাজা বাদাম খেতে পছন্দ করেন এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিগুণও ধরে রাখতে চান তবে তাহলে বাজার থেকে কাঁচা বাদাম কিনে ওভেন বা এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করে ঘরেই রোস্ট করুন। এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত প্যাকেট করা বাদামে থাকে অতিরিক্ত তেল ও উচ্চ সোডিয়াম। তাই এসব এড়াতে বাড়িতেই ভেজে খান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *