মে ৫, ২০২৪

প্রায় ৪০০ আরোহী নিয়ে গ্রিস এবং মাল্টার মধ্যে ভাসছে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা। নৌকাটি সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং যেকোনও মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। অ্যালার্ম ফোন নামে অভিবাসীদের সহায়তাকারী একটি পরিষেবা রোববার (৯ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে।

মূলত সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধপথে ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য অভিবাসীবাহী নৌকার চাপ অনেক তীব্র হয়েছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

অ্যালার্ম ফোন টুইটারে জানিয়েছে, তারা অভিবাসীবাহী ওই নৌকা থেকে একটি কল পেয়েছে। এই নৌকাটি লিবিয়ার তোব্রুক থেকে রাতের আঁধারে যাত্রা করেছিল এবং কল পাওয়ার পর তারা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ওই অভিভাসীদের উদ্ধারে কোনও অভিযান শুরু করেনি।

অ্যালার্ম ফোন বলেছে, নৌকাটি এখন মাল্টিজ সার্চ অ্যান্ড ও রেকসিউ এরিয়ায় (এসএআর) রয়েছে।

অন্যদিকে জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল তার টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেছে, তারা কাছাকাছি দু’টি বণিক জাহাজসহ নৌকাটি খুঁজে পেয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মাল্টিজ কর্তৃপক্ষ জাহাজগুলোকে ওই নৌকা থেকে উদ্ধার কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের মধ্যে একটিকে কেবল জ্বালানি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে মাল্টিজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

অ্যালার্ম ফোন বলেছে, অভিবাসীবাহী ওই নৌকায় থাকা লোকেরা আতঙ্কিত এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের চিকিৎসার প্রয়োজন। এছাড়া নৌকাটিতে জ্বালানি নেই এবং এর নিচের ডেকটি পানিতে পূর্ণ হয়ে গেছে।

সংস্থাটির দাবি, নৌকাটিকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রেখে ক্যাপ্টেন চলে গেছেন এবং নৌকা চালাতে পারে এমন কেউ সেখানে আর নেই।

জার্মানি’স রেস্কশিপ নামে অন্য একটি এনজিও রোববার বলেছে, ভূমধ্যসাগরে পৃথক জাহাজডুবির ঘটনায় রাতারাতি কমপক্ষে ২৩ জন অভিবাসী মারা গেছেন। টুইটারে সংস্থাটি বলেছে, উদ্ধার অভিযানের সময় এনজিওটি ২৫ জনকে পানিতে খুঁজে পায় এবং এর কর্মীরা ২২ জনকে জীবিত ও দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

যদিও এই সংস্থাটি আগেই জানায় যে, আরও ২০ জন ইতোমধ্যেই ডুবে গেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)-এর জিও ব্যারেন্টস জাহাজের মাধ্যমে উত্তাল সমুদ্রে ১১ ঘণ্টার জটিল অভিযান শেষে মাল্টা উপকূল থেকে ৪৪০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া গত শনিবার তিউনিসিয়া থেকে ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় দু’টি নৌকা ডুবে যাওয়ার পরে কমপক্ষে ২৩ আফ্রিকান অভিবাসী নিখোঁজ এবং চারজন মারা যান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *