মে ১৮, ২০২৪

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস শনিবার জানিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছেন হামাসের নেতারা।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশফাকও জানিয়েছে, জিম্মি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দুই পক্ষ এবং হামাস এ ব্যাপারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা দেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-কুদসকে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে শুধুমাত্র নারী, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের ছাড়া হবে। তাদের ছাড়ার পরও বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা তাদের কাছে থেকে যাবে। এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে সুবিধা আদায় করে নেবেন তারা।

এ দুটি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ শেষে গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে।

তবে অপর ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ জানিয়েছে, আরব সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে— এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।

বর্তমানে যে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে সেটিকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে।

চুক্তিতে বলা আছে— প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪০ দিন। এ সময়ে হামাস ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরাইল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।

দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই ধাপে বাকি জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে।

তৃতীয় ধাপেরও মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই সময়টায় হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ইসরাইলের কাছে বুঝিয়ে দেবে।

সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, হামাসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই দুই পক্ষ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।এআই প্রযুক্তির সাহায্যে দল বাছাই করল ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড নারী দলের কোচ জন লুইস প্রতিপক্ষের সঙ্গে টেক্কা দিতে এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন।

শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে এমনটি জানিয়েছেন। নারী আইপিএলে কাজ করার সময় তিনি এই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সফল হয়েছিলেন।

জন লুইস বলেন, ‘একটি ম্যাচের জন্য প্রায় আড়াই লাখ রকমের দল বাছতে পারে এআই প্রযুক্তি। আগে দেখে নেই কোন দলের বিপক্ষে খেলা। তারপর আমার কী প্রয়োজন তা ওই প্রযুক্তিকে জানিয়ে দেই। ভারতে নারী আইপিএলে উত্তর প্রদেশ ওয়ারির্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় এই প্রযুক্তির কথা জানতে পারি। আমার মনে হয়েছিল ইংল্যান্ড দলের ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি উপযোগী।’

সাধারণত নির্বাচকরা দল নির্বাচন করে থাকেন। ম্যাচের জন্য একাদশ বেছে নেন কোচ আর অধিনায়ক। সেই সব কাজ করে দিচ্ছে নতুন এই প্রযুক্তি।

লুইস বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাকে একটা পরিষ্কার ধারণা দিচ্ছে। সেখানে আমি জানতে পারছি আগে কেমন দল গড়া হত, প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ায় দল গঠনের ক্ষেত্রে খুব সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত নিতে পারছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া খুব শক্তিশালী দল। আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে ওদের শক্তি অনুযায়ী দল বেছে নিয়েছিলাম। সেটা আমাদের খুব কাজে লেগেছিল। আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছি।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *