মে ৯, ২০২৪

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভূক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। আজ সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটির স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে আগামী বুধবার (১৩ মার্চ)। কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৪ মার্চ।

জানা যায়, সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০ টাকা ৮১ পয়সা, ডিসেম্বর ২০২৩ এ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং কোম্পানির প্রথম ৬ মাসে এপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। ২০২২ সালে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৮৭ পয়সা, ২০২১ সালে ৫ টাকা ২৫ পয়সা, ২০২০ সালে ৫ টাকা ১৭ পয়সা, ২০১৯ সালে ৪ টাকা ৭৮ পয়সা ও ২০১৮ সালে ইপিএস ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২২ সালে ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা, ২০২১ সালে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ২০২০ সালে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা, ২০১৯ সালে ৩২ টাকা ৪ পয়সা ও ২০১৮ সালে ছিল ৩১ টাকা ২৬ পয়সা।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ, ২০১৯ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ ও ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। কোম্পনিটি ২০২৩ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি।

৩০-৬-২০২২ সমাপ্ত বছরের সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক কোম্পানির রির্জাভে রয়েছে ২০০০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী লোন ছিল ১০১৩ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও দীর্ঘ মেয়াদী লোন ছিল ১৭৬০ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ডিএসিতে কোম্পানির কোন ক্রেডিট-রেটিং তথ্য দেওয়া নেই। অর্থাৎ কোম্পানি আদৌ কোন ক্রেডিট-রেটিং রির্পোট হয়েছে বলে দৃশ্যমান হয়নি।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ১৫০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকভূক্ত হয়। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি লাখ ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ টাকা।

ডিএসই‘র তথ্য অনুযায়ী, ৩০-১-২০২৪ ইং তারিখে উদ্যোক্তা-পরিচালকের হাতে রয়েছে ৬৩.১৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৮.৬৭ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে রয়েছে ৩.৬৫ শতাংশ শেয়ার এবং বাকি ১৪.৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেও মধ্যে।

গত এক বছরে কোম্পানিটির দর উঠানামা হয়েছে ২৪.৫০ টাকা থেকে ৩৪.০০ টাকা। আজকের দর উঠানামা হয়েছে ২৪.৮০ টাকা থেকে ২৫.৫০ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনী দর ছিল ২৫.০০ টাকা এবং আজকের ওপেনিং দর ছিল ২৫.০০ টাকা। ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত সামিট পাওয়ার বর্তমানে এ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *