মে ৬, ২০২৪

আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রসুন কিংবা মধু যে কার্যকরী একথা প্রায় সবারই জানা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সুস্থ রাখতে নানাভাবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে কাজ করে।

নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনি অন্যদের থেকে অনেক বেশি সুস্থ, সে বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন। কারণ কেবল খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, রসুনের রয়েছে ঔষধি গুণও। কাঁচা রসুন খাওয়া তো উপকারীই, তার সঙ্গে মধু যোগ করলে তা আরও বেশি কার্যকরী হয়ে উঠবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা-

পেটের সমস্যা কমায়

ডায়রিয়াসহ পেটের যেকোনো সমস্যা সারাতে কাজ করে রসুন ও মধুর মিশ্রণ। শুধু তাই নয়, রসুনে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সব ধরনের ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের বিভিন্ন অংশের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে খেতে পারেন রসুন ও মধু। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই। এই দুই উপাদানের মিশ্রণ নিয়মিত খেলে তা ধমনীতে জমে থাকা ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি উন্নতি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও। ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা হলেও খেতে পারেন রসুন-মধুর মিশ্রণ। এতে উপকার পাবেন দ্রুতই।

ক্লান্তি দূর করে

দিনশেষে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। অনেকের শরীরে আবার একটানা ক্লান্তি লেগে থাকে। কোনোভাবেই যেন সেই ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। এই ক্লান্তি দূর করতে কাজ করে রসুন ও মধু। সেজন্য প্রথমে রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। এরপর তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণ প্রতিদিন খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে খুব সহজেই। পাশাপাশি শরীরও থাকবে ফিট।

ফ্লু দূর করে

ফ্লু সংক্রান্ত যেকোনো অসুখ দূর করতে কার্যকরী হলো রসুন। অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি, ৫ কোয়া রসুন কুচি, ২টি শুকনো মরিচ কুচি, ১ টেবিল চামচ আদা কুচি, একটি লেবুর রস এবং আপেল সাইডার ভিনেগার নিন। এরপর প্রথমে একটি পাত্রে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং শুকনো মরিচ কুচি মিশিয়ে নিন। আলাদা পাত্রে লেবু চিপে রস তৈরি করে রাখুন। এবার কুচানো উপকরণের সঙ্গে লেবুর রস মেশান। এরপর পরিমাণমতো ভিনেগার মিশিয়ে অন্তত ১ সেন্টিমিটার ফাঁকা রেখে পাত্রটি ঢেকে রাখুন। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং ফ্লুর সমস্যা দূর করতে নিয়মিত এই মিশ্রণ খান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *