মে ৮, ২০২৪

‘ভিটামিন পি’ বায়োফ্ল্যাভোনয়েডের একটি গ্রুপকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যা প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভিদে পাওয়া যৌগ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড বিভিন্ন ফল, শাকসবজি এবং অন্যান্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারে পাওয়া যায়। অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে এ জাতীয় খাবার খেলে।

এ ধরনের খাবারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব রয়েছে। ফলে এটি ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে কোষকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কিছু বায়োফ্ল্যাভোনয়েডের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কোয়ারসেটিনের মতো কিছু যৌগ রক্তনালীর কার্যকারিতা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোলেস্টেরল বিপাককে প্রভাবিত করে। বায়োফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবার যেমন সাইট্রাস ফল, বেরি এবং গাঢ় রঙের শাক-সবজি খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

বায়োফ্ল্যাভোনয়েড ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে তোলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি শরীরকে সংক্রমণ এবং অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

একটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০০ মিলিগ্রাম ফ্ল্যাভোনয়েড গ্রহণ করলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ৫% কমিয়ে দেয়।

সাধারণ খাবার যা বায়োফ্ল্যাভোনয়েডের সমৃদ্ধ উৎস হলো সাইট্রাস ফল, ডার্ক চকলেট, বেরি জাতীয় ফল, আপেল, গ্রিন টি এবং সবুজ শাক-সবজি। বেশিরভাগ লাল, নীল এবং বেগুনি ফল এবং সবজি অ্যান্থোসায়ানিডিন সমৃদ্ধ; বেরি জাতীয় ফল সায়ানিডিন, ডেলফিনিডিন এবং পিওনিডিনের পাওয়ার হাউস।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *