মে ১৯, ২০২৪

ধান ও চালের গুণগত মানে কোনো আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এবারের শিলাবৃষ্টিতে হাওড়ের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন মন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, হাওড়ের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। শুকিয়ে তা ঘরেও তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওড়কে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকের যাতে হয়রানি না হয়, সেজন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিন জন করে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেয়া আছে।’

‘যারা অ্যাপসে আবেদন করেছেন কিংবা কৃষি দফতরে কৃষক ধান দেবেন বলে আবেদন করেছেন বা তালিকা পাঠিয়েছেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার মিটার দিয়ে ধান পরীক্ষা করা হবে আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ কি-না। যদি এর বেশি হয়, তাহলে তাদেরকে বলবেন আরেকটু শুকিয়ে ১৪ শতাংশ করে নিয়ে আসতে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাদের সেই ধান ফের শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এ জন্য কৃষি দফতরের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের কাছে আর্দ্রতা যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আনতে হবে।

‘আর গোডাউনে ধান দিতে এলে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেই দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই হ্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হন, এ জন্য আমরা সচেষ্ট থাকবো। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ সময় ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, সেক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *