মে ৮, ২০২৪

ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব রটনার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- মোহাম্মদ নুর উন নবী, মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু, মো. স্বাধীন মিয়া ও মো. আব্দুস সালাম।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, কতিপয় ব্যক্তি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর গুজব রটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। দেশ বিরোধী চক্র সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাংকিং খাত নিয়ে আস্থার সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য, দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা। এস আলম গ্রুপসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানদের নামে ব্যাংকিং সংক্রান্ত মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব চালিয়ে আসছে। তারা প্রবাসীদের রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে, ব্যাংকে টাকা নেইসহ নানাবিধ গুজব রটানোর কাজে তারা জড়িত

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসআলম গ্রুপের ঋণ উত্তোলন নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে এসআলম গ্রুপের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, এসআলম গ্রুপের মালিকরা ব্যাংক লুটেরা; অনুগ্রহ করে ৭টি ব্যাংক ও দেশের জনগণকে এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাঁচান। ডিবি প্রধান বলেন, ‘এই পোস্টার লাগানোর পেছনে গ্রেপ্তারকৃতরা ও বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজনের হাত রয়েছে।’

হারুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রচারণায় জড়িত ছিলেন। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে।

গতকাল গ্রেপ্তার করা ৫ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *