মে ৮, ২০২৪

অনেকের মতে সর্বকালের সেরা ফুটবলার এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্তো পেলে মারা গেছেন৷ ব্রাজিলকে তিন বার বিশ্বকাপ জেতানো এ ফুটবল কিংবদন্তি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থত ছিলেন৷

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১টায় আন্তার্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

৮২ বছর বয়সে পেলে মারা গেছেন- এ খবর জানাতে গিয়ে ইন্সটাগ্রামে তার মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো লিখেছেন, ‘তোমার প্রতি অপরিমেয় ভালোবাসা! শান্তিতে ঘুমাও!’

কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন ফুটবল সম্রাট। সুইডেনকে ফাইনালে ৫-২ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। দুটি গোল করেছিলেন পেলে। সেই সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন।

তিন বার বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে। বিশ্বের আর কোনও খেলোয়াড়ের এমন রেকর্ড নেই। ১৯৫৮ সাল এবং ১৯৭০ সালের ফাইনালে গোলও করেছিলেন পেলে।

রেক.স্পোর্টস.সকার স্ট্যাটিস্টিক ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রাজিলের জার্সিতে মোট ৯২টি ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছিলেন পেলে। ফ্রেন্ডলিতে ৩৪টি, বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন পর্বে ছয়টি, বিশ্বকাপে ১২টি, কোপা আমেরিকায় আটটি এবং অন্যান্য টুর্নামেন্টে ১৭টি গোল করেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করার রেকর্ডও তার। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। সেই সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৩৯ দিন। ওই গোলের সুবাদেই ম্যাচ জিতেছিল ব্রাজিল।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিকেরও নজির গড়েছিলেন পেলে। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ‘ব্ল্যাক পার্ল’। সেই সময় তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৪ দিন।

১৯৭৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মোহনবাগানের একটি প্রদর্শনী খেলেছিলেন ফুটবলের সম্রাট। নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারের একেবারে শেষলগ্নে কসমস ক্লাবের এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে কলকাতায় গিয়েছিলেন। তিন বার বিশ্বকাপজয়ীকে দেখতে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে কলকাতা। বিমানবন্দর, হোটেল থেকে শুরু করে ইডেন গার্ডেন্স সর্বত্রই মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। এরপরও একাধিক বার ভারতে গিয়েছিলেন তিনি।

পেলের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর। বাবার দেওয়া নাম এডসন আরান্তেস দি নাসিমেন্তো হলেও পেলে নামেই তিনি পরিচিতি পান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *