মে ৬, ২০২৪

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথা বলেছে। তারা চায় দেশটির বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধানে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেইজিংয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই কথা জানান। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

এর আগেও এমন উক্তি করেছেন ওয়াং ই। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনা থামানোর দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস খবরে জানায়, ফিলিস্তিনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত বৈঠকে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি চার দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছেন।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন আবারও নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরবে এবং একটি বিবৃতি দিতে যেনও সবাই সম্মত হয় সেই চেষ্টা করবে।

চীনা মন্ত্রী নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেন, উভয় পক্ষের শান্তি আলোচনার শুরুর পক্ষে চীন, যেটির ভিত্তি হবে দুই রাষ্ট্র সমাধান। যত দ্রুত সম্ভব স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে যে রাষ্ট্রের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুসারে নির্ধারিত হবে সীমান্ত।

ওয়াং জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন ইস্যুতে একই সুরে কথা বলতে পারছে না। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের বাধা দেওয়াকে ইঙ্গিত করে চীনা কূটনীতিক এ মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার এবং অবস্থান সমন্বয় করার আহবান জানাই।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ। নিহতদের অধিকাংশ শিশু ও নারী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *