মে ৭, ২০২৪

আমাদের প্রতিদিনের খাবারে ডিম থাকেই। কোনো না কোনো বেলার খাবারে ডিম না থাকলে অসম্পূর্ণ লাগে যেন। অল্প টাকায় বেশি প্রোটিন কেবল ডিমের মাধ্যমেই মেলে। শুধু ডিম খেলেই হবে না, কখন ডিম খেলে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে, তাও জেনে নেওয়া দরকার। কারণ কারণ ডিম থেকে কতটুকু পুষ্টি পাবেন তা অনেকটা নির্ভর করে কখন খাচ্ছেন তার ওপর।

ডিমের পুষ্টি

ডিম পুষ্টিগুণে অনন্য। দুটি ডিমে প্রায় ১৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে এতে আরও পাওয়া যায় প্রায় ১৫৫ ক্যালোরি। অত্যন্ত উপকারী এই খাবারে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি ও কোবালমিন। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে সুস্থ থাকা সহজ হয়।

পেশি ও হাড়ের জন্য উপকারী

পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে থাকে প্রচুর প্রোটিন। আমাদের শরীর খুব সহজেই এই প্রোটিনের বেশিরভাগ অংশ গ্রহণ করে। যে কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতিও মেটে সহজে। সেইসঙ্গে পেশি শক্তিশালী হয়। ডিমে আরও থাকে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম। হাড় ভালো রাখতে এই দুই উপাদানের বিকল্প নেই।অস্টিওপোরোসিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ডিম খাওয়া জরুরি। পর্যাপ্ত ক্যালোরি থাকার কারণে ডিম খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়া উচিত।

কখন ডিম খাওয়া বেশি উপকারী?

সকালে ডিম খাওয়ার বিষয়ে মত বেশিরভাগ পুষ্টিবিদের। কারণ সকালের খাবারটা ভারী হলেও খুব একটা সমস্যা হয় না। সকালের নাস্তায় ডিম খেলে তার সবটুকু পুষ্টি শরীর কাজে লাগাতে পারে। তবে দুপুরের পর ডিম না খাওয়াই ভালো। এতে এই গরমে শরীর আরও গরম হয়ে যেতে পারে। রাতের দিকে শরীরে খুব বেশি শক্তির দরকার পড়ে না তাই রাতেও ডিম বাদ দেওয়া যেতে পারে। আর রাতে খেতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।

কখন মেপে খেতে হবে

যদি আপনার ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকে তবে ডিম মেপে খেতে হবে। এক্ষেত্রে সমস্যা কতটুকু তার পর ভিত্তি করে পুষ্টিবিদ ডায়েট তালিকা ঠিক করে দেবেন। যদি ডিম খেতে নিষেধ থাকে তবে এড়িয়ে চলবেন। তবে ডিমের সাদা অংশ খেলে খুব একটা সমস্যা হয় না। অ্যালার্জি বা পছন্দ না করার কারণে যদি ডিমের কুসুম না খান তবে ছানা, পনির, সয়াবিন, ছোট মাছ, মুরগির বুকের মাংস ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পারবেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *