মে ৯, ২০২৪

বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যখন ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন, তখন ৫৭০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন আহমেদ।

১৭ মার্চ, রবিবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান তার মাংসের দোকান পরিদর্শনে গেলে তিনি এ ঘোষণা দেন।

বিসমিল্লাহ গরু-খাসির মাংস সাপ্লাই নামের দোকানটি অবস্থিত পুরান ঢাকার নয়াবাজারের আরমানিটোলার আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায়।

সাশ্রয়ী মূল্যে মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়ায় মাংস ব্যবসায়ী নয়নকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এ সময় এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতি সাশ্রয়ী মূল্যে ভোগ্য পণ্য বিক্রয়ের আহ্বান জানানো হয়। নয়ন আহমেদ সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয়ের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। নয়ন আহমেদ, খলিল ও উজ্জ্বলরা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখিয়েছে যে ইচ্ছা থাকলে ভোক্তাদের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রয় করা সম্ভব।

গরুর চামড়া নিয়ে তিনি বলেন, চামড়ার ন্যায্য মূল্য দেওয়া, ফিডের মূল্য কমিয়ে আনা, উন্নত জাতের গরু নির্বাচন, হাঁসলি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার মতো কিছু কাজ করা যায়। তাহলে ভোক্তা পর্যায়ে ৫০০ টাকা কেজি গরুর মাংস নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মাংস ব্যবসায়ী নয়ন আহমেদ বলেন, ‘গরু জবাই করার পর, শরীরের সকল অংশ একসঙ্গে মেশানো হয়। এরপর ভাগ করে ৫৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। আর কেউ যদি নিজের পছন্দমতো মাংস নিতে চায়, মানে দোকানে ঝোলানো মাংস নিতে চায় তা ৬৫০ টাকা কেজি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজি এম এ মান্নান বলেন, ‘নয়ন এক বছর ধরে সাশ্রয়ী মূল্যে এলাকার মানুষের নিকট গরুর মাংস বিক্রি করে আসছিল। সে এই এলাকার গর্ব। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নয়নকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জাব্বার মন্ডলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *