এপ্রিল ২৯, ২০২৪

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ও আন্তর্জাতিভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ১৬০ টাকা কেজি দরে চিনি এবং ১০০ টাকা ৮০ পয়সা কেজি দরে মসুর ডাল কেনা হবে।

আজ বুধবার (২০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি নিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ১৬০ কোটি টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি চিনির ক্রয় মূল্য পড়বে ১৬০ টাকা। পবিত্র রমাজন মাস উপলক্ষে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিক্রির লক্ষ্যে এই চিনি কেনা হবে।

চিনির কেজি ১৬০ টাকা একটু বশি হয়ে যাচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হবে। যেহেতু বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনে কিছু স্টক রয়ে গেছে। ওই স্টক থেকে আপাতত কেনা হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে একটু সময় লাগছে। এখন যেহেতু আমাদের এক কোটি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সুতরাং এটি সাময়িকভাবে সরকার টু সরকার ১৬০ টাকা কেজি দরে চিনি কেনা হচ্ছে। এই চিনি সরকারি মিলে উৎপাদিত।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন এখন খোলাবাজারে যে চিনি বিক্রি করছে তার কেজি ১৪০ টাকা, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, তারা এটা নেগোসিয়েশন করেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে। যেহেতু সরকারি টু সরকার পারচেজ হচ্ছে, সুতরাং সেভাবে তারা সম্মত হয়েছে এবং কিনছে।

তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিকভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ১০০ টাকা ৮০ পয়সা হিসেবে এই ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এর আগে ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার তেল, ডাল, চিনি ও গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার গম, ৭৭ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল, ১০৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার চিনি এবং ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মসুর ডাল ছিল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *