মে ১৯, ২০২৪

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। আগামীতে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে বৃহৎ অংশীদার হিসেবে গাম্বিয়াকে সঙ্গে নেবে।

র‌বিবার বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দাবি করেন। একইভাবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিসহ নানা খাতে ব্যবসা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক সই করেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।

সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৮৪ হাজার জন যোগ দিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশ এই কাজে গাম্বিয়াকে সঙ্গে নেবে। গাম্বিয়া নীতির পক্ষে অটল এবং অবিচল একটি রাষ্ট্র। রোহিঙ্গা প্রশ্নে ওআইসির প্রতিনিধি হিসেবে দেশটি বাংলাদেশের জন্য সুন্দরভাবে লড়াই করেছে। ভবিষ্যতে দেশটি যেকোন গণহত্যা ও বড় ধরনের সংকটে মানুষের পাশে থাকবে।

সন্ধ্যায় দুই দেশের সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মামাদু তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা কোনো ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এই গণহত্যায় জড়িতদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত মামাদু তাঙ্গারা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুকে গাম্বিয়া বিশেষ গুরুত্ব দেয়। সেই কারণে আমরা এই ইস্যুতে অ্যাডভোকেসি করছি। রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে শান্তি ও মর্যাদার সাথে ফিরতে হবে। এই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের সঙ্গে এক যোগে কাজ করছে গাম্বিয়া।

তিনি বলেন, শান্তি সুরক্ষায় শান্তি রক্ষা মিশনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ। এটা খুব ইতিবাচক। কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে বিশ্বজুড়ে সঙ্কটে পড়েছে। আর এই সঙ্কট থেকেই প্রমাণিত হয় আমরা গ্লোবাল ভিলেজে রয়েছি। আমরা একযোগে এই সঙ্কট থেকে উত্তরণ চাই।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *