মে ২, ২০২৪

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রবল জনপ্রিয়তার কারণে খেলার বাইরেও তিনি আকাশচুম্বী অর্থ উপার্জন করেন। তাই অর্থের দিক থেকে বিশ্বের অন্য ক্রীড়াবিদদের থেকে অনেক এগিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নতুন ক্লাবে যাওয়ার পর হোটেল বিল ও পুরনো বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত খবরেও সে সবেরই প্রমাণ মেলে। নিজ দেশের রাজধানী লিসবনে সর্বোচ্চ দামে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০২১ সেই কাজ বন্ধ করে দেয় নগর কর্তৃপক্ষ।

দুই বছর কাজ বন্ধ থাকার পর পুনরায় সেই বাড়ি বানানোর অনুমোদন দিয়েছে তারা। এর আগে অনিয়মের অভিযোগে ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো’র (৮২ কোটি টাকার বেশি) বাড়ির কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়। পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম অ্যাও মিনুতো’র বরাত দিয়ে মার্কা এই তথ্য জানিয়েছে।

তবে এবারও অনুমোদনের পেছনে শর্ত দিয়েছে লিসবন কাউন্সিল। তারা বলছে, ‘লতাবিশিষ্ট আচ্ছাদনে ঢেকে তারা (রোনালদো) নির্মাণ কাজ করতে পারবে। তবে মূল প্রকল্পের বাইরে ছাউনি নির্মাণ করতে পারবে না।’

এর আগে ২০২১ সালে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকারের বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। সেই ভিডিওতে বাড়ির মূল প্রজেক্টের বাইরে একটি ধাতব কাঠামো দেখা যায়। পরে সেটি নিয়ে সরব হয়েছিল গণমাধ্যম। এরপরই সেখানে অভিযান চালায় নগর কর্তৃপক্ষ। এর এক মাস পরে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোনালদো সেই ছাউনি সরিয়ে নেবেন। যদিও এরপর তার নতুন করে বাড়ি তৈরির অনুমোদন পেতে আরও দু’বছর অপেক্ষা করতে হলো।

লিসবনের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওই বাড়িতে একটি স্পা, সিনেমা রুম, ইনডোর এবং আউটডোর সুইমিং পুল ও একটি টেরেস রয়েছে। যেখান থেকে পার্শ্ববর্তী তাগুস নদী দেখা যাবে।

বাড়িটির প্রকৌশলী জোসে মাতেয়াস শুরুর দিকে বাড়ি নির্মাণের এই ধরন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। একইসঙ্গে প্রকৌশলীর অনুমতি ও প্রতিবেশিদের অনুমতি ছাড়াই এরকম ছাউনি নির্মাণকে তিনি ‘পর্যাপ্ত সম্মানের অভাব’ বলে উল্লেখ করেন।

পর্তুগিজ তারকা রোনালদো বর্তমানে সৌদির আল-নাসর ক্লাবে খেলার সুবাদে সেখানে অবস্থান করছেন। পর্তুগালের হয়ে তিনি সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছেন। একইসঙ্গে ক্লাব ফুটবলেও অসংখ্য কীর্তি রয়েছে তার। ইউরোপের ক্লাব ছাড়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে মেসিসহ অন্য তারকাদের দ্বৈরথ কমে গেলেও, সৌদি ক্লাবটিকে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছেন রোনালদো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *