মে ১৭, ২০২৪

দুই সেশনে দাপট দেখিয়ে শেষ সেশনে এলোমেলো বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরি ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনর ৬ উইকেটের দিনে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ অল আউট হয়েছে ৩৬৯ রানে ও ১৫৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

প্রথম দিনের শেষটা মন মতো হয়েছিল না বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও হয়েছে নড়বড়ে। তবে মুমিনুল হকের দ্রুত বিদায়ের প্রভাব দলে পড়তে দেননি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছে বাংলাদেশ। ৩৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৭০। এই সেশনে স্কোরবোর্ড ১৩৬ রান যোগ করেছে সাকিববাহিনী।

৩৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। মার্ক অ্যাডায়েরের লেগ স্টাম্প তাক করে করা এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন মুমিনুল। ৩৪ বলে চারটি চারে ১৭ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে গিয়েই প্রথম বলে চারে শুরু করেন অধিনায়ক সাকিব।

দলকে বিপদমুক্ত করার সঙ্গে মুশফিককে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাকিব-মুশফিক। উল্টো আইরিশদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালান সাকিব এছাড়া।অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রাইনকে সুইপ করে চাপ মারার পর রিভার্স সুইপ করে আরেকটি বাউন্ডারির দেখা পান মুশফিক। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যানের জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ।

এর আগের ওভারে কার্টিস ক্যাম্পারকে দুটি চার মারেন অধিনায়ক সাকিব। প্রথম ঘণ্টায় ওভারপ্রতি ৫ রানের বেশি করে তোলে বাংলাদেশ। সাকিব-মুশফিকের জুটি রান রেট ছিল ৬ ছুঁইছুঁই। দলকে একশোর ঘরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে ৭৩ রান স্কোরবোর্ডে তোলেন দুজন।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পথ ধরে ৪৫ বলেই হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সাকিব। বেন হোয়াইটকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার মারার পর লং অন দিয়ে মারেন আরেকটি। তাতেই পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ৩১তম পঞ্চাশে। এই সময়ে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে নয়টি চার।

সাকিবের পর মুশফিকও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। দুজনের ব্যাটে দল পৌঁছে যায় দেড়শো রানে। এরপর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে আর মাত্র ১৩ রান যোগ করতেই ম্যাকবির্নির বলে সুইপ করতে গিয়ে লর্কান টাকারের তালুবন্দি হন সাকিব।

সঙ্গী হারালেও ছয়ে নামা লিটন দাসকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। দেখে শুনে খেলে আইরিশ বোলারদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অবশেষে মুশফিক পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিতে। অ্যাডায়ের বল খোঁচা মেরে কিপার ও স্লিপের মাঝ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার।

এক পাশে মুশফিক মাইলফলকে পৌঁছালে লিটনও ছুটছিলেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। গ্যাপ শট খেলে একে একে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকালেও শেষ পর্যন্ত রান আউটে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সামনে এগিয়ে মারতে গিয়ে ৪৩ রানে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে চা বিরতিতে যান মুশফিক।

বিরতির পর নেমে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ১২৬ রানে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। মেহেদি হাসান একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে গেলেও নিচের সারির ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত। ম্যাকব্রাইনর ঘুর্নিতে ৩৬৯ রানে শেষ পর্যন্ত অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *