সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। গোষ্ঠীটি নিজেদের ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ দাবি করে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ‘ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের জবাব’ হিসেবে চার মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

রোববার জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিরিয়া সীমান্তের কাছে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩৪ জন।

এ হামলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরুন ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। বাইডেন বলেছেন, ইরান সমর্থিত উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে।

তবে ক্যামেরন ও বাইডেনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ইরান। সোমবার বার্তা সংস্থা আইআরএনকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানির বলেন, আমরা আগেও বলেছি আর এখনো বলছি যে, বিরোধী গোষ্ঠীগুলো এই অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা ইরানের সরকার থেকে কোনো ধরনের আদেশ গ্রহণ করে না।

ড্রোন হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যের মধ্যে হামলার দায় স্বীকার করল ইরাকের গোষ্ঠীটি। সোমবার গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাক ও এই অঞ্চলে মার্কিন দখলদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে জায়নবাদী রাষ্ট্রের গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা রোববার ভোরে চার শত্রু ঘাঁটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যার তিনটি সিরিয়ায় এবং চতুর্থটি আমাদের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অভ্যন্তর।

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের অবস্থান ও ঘাঁটিতে কয়েক ডজন হামলার দায় স্বীকার করেছে।

তবে এসব হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত হয়নি। জর্ডানেই প্রথম হতাহতের ঘটনা ঘটলো। এই হামলার কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, কোনো সন্দেহ নেই, হামলায় দায়ীদেরকে সময়মতো ধরব আমরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *