মে ৬, ২০২৪

জামদানি তাঁতশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়ে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে ৩০ মার্চ ২০২৪খ্রি. থেকে ০৩ এপ্রিল ২০২৪খ্রি. পর্যন্ত ০৫ দিনব্যাপী ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ নলিণীকান্ত ভট্টশালী আর্ট গ্যালারি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে।

কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জাকিয়া সুলতানা, সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খলিল আহমদ, সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জনাব মোঃ কামরুজ্জামান, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান মহোদয় জনাব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক (গ্রেড-১)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব জাকিয়া সুলতানা বলেন, জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। সেজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যথাক্রমে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা প্রদান, বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে শোকেসিং, ইত্যাদি।

সিনিয়র সচিব বলেন, উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। একসময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল। এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার। বিদেশিদের নিকটও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়। আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরো গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, যেকোনো শিল্পে উৎপাদন খরচ না ওঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না। তিনি এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় আরো বেশি সংখ্যক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল শাড়িকেও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, ঐতিহ্যবাহী পণ্য জামদানির প্রধান পৃষ্ঠপোশক হিসেবে বিসিক বহু পূর্ব থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে ১৯৯৩ সালে বিসিকের তত্ত্বাবধানে ২০ একর জমির ওপর জামদানি শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য জামদানি এর স্বীকৃতি সনদ ২০১৬ সালে প্রাপ্ত হয় বিসিক।

বিসিক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর সফল আয়োজন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানির প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনা সভা শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী (৩০ মার্চ থেকে ০৩ এপ্রিল, ২০২৪) ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেলা ঘুরে দেখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *