মে ৯, ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের অপেশাদার আচরণ আবারও আলোচনায়। ধানুশকা গুনাথিলাকা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর এবার আরেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোয় গিয়ে মারামারি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে, অভিযুক্ত ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেনি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া আসরে দাসুন শানাকার দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেসব অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড। সেই তদন্তেই উঠে এসেছে নতুন এই তথ্য। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড সব অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর এক ক্রিকেটার ব্রিসবেনের একটি ক্যাসিনোতে যান। সেখানে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে প্রথমে তর্ক এবং পরে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন এক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। অভিযুক্ত ক্রিকেটারের নাম অবশ্য প্রকাশ করেননি বোর্ড কর্মকর্তারা। দলের একাধিক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া সফরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে।

দ্বিতীয় ঘটনা সামনে আসার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মন কি আদৌ ক্রিকেটে ছিল? কেন তারা বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সঙ্গে জড়ালেন? ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বিশ্বকাপ দলের ম্যানেজারের কাছে অবিলম্বে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

কমিটির সদস্যরা হলেন— হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিসিরা রত্নায়েকে, অ্যাটর্নি অব ল নিরোশানা পেরেরা এবং অ্যাটর্নি অব ল আসেলা রেকায়া। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত ক্রিকেটার বা কর্মকর্তা যেই হোন, অভিযোগ প্রমাণ হলে কেউ রেহাই পাবেন না।

এদিকে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ধানুশকাকে সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়া চুক্তিবদ্ধ এই ব্যাটারকে আইনি লড়াইয়ের জন্য শর্তসাপেক্ষে খরচ দিচ্ছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা। দেশে ফেরার পর তাকে সব টাকা ফেরত দিতে হবে বোর্ডকে। ধানুশকা এই সফরে শুধু নামিবিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলেন। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে যান তিনি।

বুধবার তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগকারী নারী শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে মারধর এবং গলা চেপে ধরার অভিযোগও এনেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী আরও বিপাকে পড়বেন ৩১ বছরের শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাকে রাখা হয়েছে পশ্চিম সিডনির একটি কারাগারে। তার ব্যয়বহুল জীবনযাত্রা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য ২০১৮ সালেও একবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *