এপ্রিল ২৭, ২০২৪

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলারসহ বিদেশি মুদ্রা হাতবদলে কারসাজি ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের ১৯ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা। দুইজন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মালিক।

বুধবার দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মামলায় আসামিরা হলেন- রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জনতা ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও বুথ ইনচার্জ আনোয়ার পারভেজ, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার মো. সুরুজ জামাল, অমিত চন্দ্র দে, মো. মানিক মিয়া, সাদিক ইকবাল, মো. সুজন আলী ও মো. হুমায়ুন কবির। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম ভূইয়া (ক্যাশ), মো. কামরুল ইসলাম (ক্যাশ), একই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. সোহরাব উদ্দিন খান, খান আশিকুর রহমান, এবিএম সাজ্জাদ হায়দার (ক্যাশ), সামিউল ইসলাম খান, অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করা হয়েছে।

আসামি তালিকায় অন্যদের মধ্যে আছেন- বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার মো. আবু তারেক প্রধান, ব্যাংকটির সাপোর্টিং স্টাফ মো. মোশাররফ হোসেন, এভিয়া মানি এক্সচেঞ্জারের কাস্টমাস সার্ভিস ম্যানেজার মো. আসাদুল হোসেন ও ইম্পিরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জের পরিচালক কেএম কবির আহমেদ।

দুদক সচিব বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচারকারী দুর্নীতিবাজদের মুদ্রা সরবরাহ করছেন। দেশে চলমান ডলার সংকটের অন্যতম কারণ হচ্ছে- বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়।

তিনি বলেন, এ কারণে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল থেকেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অবৈধ এসব অর্থ দেশের বাইরে পাচারও হতে পারে। দুদক এখন থেকে এসব বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।

জানা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি মূল্যের ডলার ও অন্যান্য দেশের মুদ্রা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে আসেন। এসব মুদ্রা আত্মসাতে বিমানবন্দরে ব্যাংকের বুথ ঘিরে গড়ে উঠেছে জালিয়াত চক্র। চক্রের সদস্যরা যাত্রীদের মুদ্রা বিনিময়ের সময় অফিসিয়াল কাগজপত্র না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, জাল ভাউচারে যাত্রীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে পরে তা খোলা বাজারে ছাড়া হচ্ছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যাংক ও নিবন্ধিত মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হয়েও তারা বেআইনিভাবে বিদেশি মুদ্রা কিনে ব্যক্তিগত লাভের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করছেন।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *