মে ২০, ২০২৪

বিদ্যুতের দাম উৎপাদনের খরচ অনুযায়ী দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ভর্তুকিমূল্যে দিচ্ছি। সামনে আর দিতে পারবো না। আমাদের যেটা খরচ সেটা কিন্তু দিতে হবে। তাহলে দেবো, না হলে দেবো না।’

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’

আমদানি ব্যয় বাড়ায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সেজন্য দামও বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী তেলের মূল্য ও গ্যাসের মূল বেড়ে গেছে। সেজন্য আমাদের কিছুটা সাশ্রয়ী হতে হচ্ছে। আমরা সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবো বলেছিলাম, সে কথা তো রেখেছি। এখন বিশ্বে দাম বাড়লে আমাদের কী করার আছে!’

কৃষিপণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আগাম সাবধানতা নিতে হবে। যাতে সংকটের পরিস্থিতিতে না পড়ি। সেজন্য জমিতে বাগানে বা ছাদে হলেও কিছু উৎপাদন করেন।’

বাম-ডান মিলে যায় কী করে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘কোথায় বামপন্থি আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থী তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এজন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ!’

তিনি বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দেশের টাকা পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে বড় বড় তাত্ত্বিকরা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। কোথায় গেলো তাদের আদর্শ?’

শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা চেয়েছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখছে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক দেশ গড়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *