মে ২, ২০২৪

দুই বাংলার সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলে সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছেন।

ক্যারিয়ারে একাধিক সাফল্যের পালক মুকুটে যুক্ত করলেও ব্যক্তিজীবনে বর্তমানে তিনি একা। যদিও একসময় ভালোবেসে মডেল ফয়সালের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন তিনি।

১৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায় তাদের সংসার। ২০১১ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনয়েই পুরোদমে মনোযোগী হন জয়া।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ফিল্মফেয়ারকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই তারকা। যেখানে জয়ার ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গও উঠে আসে।

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জয়াকে প্রশ্ন করা হয়, এর আগেও বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কি? জয়া জানান, বেশ কিছু কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ‘কড়ক সিং’ দিয়ে শুরু করা তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে। ছোট হলেও চরিত্রটির নানা স্তর তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

অভিনয় শুরুর দিকে জয়ার তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তবে সৃষ্টিশীল মাধ্যমে কাজ করার অদম্য ইচ্ছা ছিল।

জয়া আরও জানান, তিনি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিলেন। পাশাপাশি গান ও ছবি আঁকায় আলাদা মনোযোগ ছিল। আবার শৈশব থেকে অভিনয়ও তাকে টানত; কিন্তু তার পরিবারের কারও সঙ্গে মিডিয়ার কোনো যোগসূত্র ছিল না। অভিনয়ের স্কুলেও তার পড়া হয়নি। নিজের মতো করেই একটু একটু করে অভিনয়ের পথে পা বাড়ান। যদিও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা এএস মাসুদ চাইতেন, মেয়ে ফরেন সার্ভিসে যোগদান করুক; কিন্তু সেদিকে জয়ার আগ্রহ ছিল না।

ক্যারিয়ার নিয়ে নানা প্রসঙ্গে উঠে আসে ওই সাক্ষাৎকারে। পরবর্তী সময়ে তার বিবাহবিচ্ছেদ এবং পরে কাজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় জয়া আহসান বলেন, ‘উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা যুদ্ধের মতো। সেই সময়ে আমার মানসিক ধারণাটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে দৃষ্টি ঘোরাই। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে। এমনকি ফোকাস থেকেও সরে যায়; কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। যে কারণে আমি কাজকেই ভালোবেসেছি। আমি কখনই কাজ থেকে দূরে সরিনি। আমি আমার এই যাত্রাকে ভালোবাসি। এর মধ্য দিয়েই মানুষ আমার প্রশংসা করেন, আমি কাজকেই সম্মান করি।’

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *