এপ্রিল ২৯, ২০২৪

সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। তবে লেনদেন বেড়েছে ১৫.৫২ শতাংশ। পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)

সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১.৫৬ শতাংশ বা ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ডিএসইর সব সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪১.৭৮ পয়েন্ট বা ২.২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমেছিল ১৯.৪২ পয়েন্ট বা ০.৩১ শতাংশ।

এদিকে, ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৩.৯৩ পয়েন্ট বা ১.৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ০.৭০ পয়েন্ট বা ০.০৫ শতাংশ। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩২.৪৬ পয়েন্ট বা ১.৫৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এটি কমেছিল ১২.৭৮ পয়েন্ট বা ০.৬০ শতাংশ।

তবে সূচকের এ নিম্নমুখী প্রবণতার পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫০৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৫৪৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ১৫.৫২ শতাংশ।

এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭.৫৮ শতাংশ বা ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৭৭ কোটি ৯ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৪১১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং সিরামিক। এছাড়া সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, মন্নো ফেব্রিকস,  আফতাব অটোমোবাইলস, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম, বেস্ট হোল্ডিংস, ফু-ওয়াং ফুডস, সিটি জেনারেল ইন্সুরেন্স ও ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ ছিল ছিল শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায়।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)

অন্যদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই সূচক ২.১৬ শতাংশ ও সিএসসিএক্স সূচক ১.৯৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৫৫০.৭৮ পয়েন্ট ও ১০ হাজার ৫৩৫.৮৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসআই সূচক ১.৩৪ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২.২৯ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ২.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ১৩৩.২৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪০.১০ পয়েন্টে ও ১ হাজার ২৪২.৮০ পয়েন্টে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে হয়েছিল ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সূত্র সময় টিভি।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ২২৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার দর।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *