মে ১৭, ২০২৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।

রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ভালো করেছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়তা করতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সাত লাখ বাংলাদেশি রয়েছে উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানান, অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে মেডিকেলে পড়ালেখা করতে যাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতেও ব্যাপক উন্নতি শুরু হয়েছে।

সামন্ত লাল বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে হাজার হাজার চিকিৎসক, নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশে এখন দরকার চিকিৎসক, নার্সদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে চিকিৎসক ও নার্সদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করার অনুরোধ জানান। জবাবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার কথা জানান ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার উভয় দেশের চিকিৎসক, নার্সদের বেশি পরিমাণে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের কথা বলেন। একইসঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স পাঠানোর কথাও জানান তিনি।

আলোচনায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ আরও টেকনিক্যাল সহায়তা বৃদ্ধি ও ভোকেশনাল ট্রেনিং নিয়েও কথা হয়।

বাংলাদেশে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান ম্যাট ক্যানেল।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ বাংলাদেশ হাতে নিয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

আগামী ১০ বছরে বিশ্বে কোভিডের মতো আবারো কোনো মহামারি চলে আসতে পারে বলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গবেষণা আরও বাড়ানো যায় কিনা- তা ভাবার পরামর্শ দেন ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার।

উভয় দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবার হার বৃদ্ধি করা, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা বলেন তারা।

এ সময় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *