মে ২, ২০২৪

বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এটি এমন একটি দেশ যেখানে জাপান ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছে। মাতারবাড়ি বন্দরসহ দেশের অনেক প্রকল্পের সঙ্গে টোকিও জড়িত।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টোকিও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। নতুন দেশটি তার স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ট।
এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ ২২ ফেব্রুয়ারি ‘জাপান ফরোয়ার্ড’ পত্রিকায় ছাপা হয়।
প্রতিবেশী এলাকায়, জাপান উত্তর-পূর্ব ভারতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। প্রকৃতপক্ষে অঞ্চলটির কৌশলগত অবস্থানের কারণে জাপানই একমাত্র দেশ যাকে উত্তর-পূর্ব ভারতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত ভুটান, চীন, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত ভাগ করে নেয়।
এ সমস্ত কারণগুলো জাপানি বৈদেশিক নীতির একটি স্বাক্ষরমূলক উদ্যোগ, ‘মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ দৃষ্টিভঙ্গি ডিজাইনে ভূমিকা পালন করেছে। যদিও জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আততায়ীর গুলিতে নিহত শিনজো আবে এ পরিকল্পনা করেছিলেন। মুলত তখন থেকে এ নীতি ধারাবাহিক প্রশাসন দ্বারা অব্যাহত রয়েছে। একই অংশ হিসেবে, জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি নিয়ম-ভিত্তিক আদেশ বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
বাংলাদেশ জাপানের বিনিয়োগ-: জাপান জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে একটি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে ছাড়িড়ে গেছে। বিশেষ করে বেইজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই) চালু হওয়ার পর, যেটিতে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে।
২০১৮ সালের জুন মাসে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ২শ’ ৬৫ কোটি জাপানি ইয়েনের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মাতারবাড়ি বন্দরের উন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
দেশের উন্নয়ন সহায়তার অংশ হিসেবে টোকিও ‘ঢাকা মাস র‌্যাপিড় ট্রান্সপোর্ট’ নেটওয়ার্কের সাথেও জড়িত।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি-: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশটি ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং দেশটি ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে।
বাংলাদেশের মাতারবাড়ি বন্দর প্রকল্প ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো ছাড়াও স্থলবেষ্টিত হিমালয় দেশ নেপাল এবং ভুটানের জন্যও সহায়ক হতে পারে। এই অঞ্চলগুলো ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার সময় এবং ১৯৭১ সালে প্রথম পূর্ব পাকিস্তান এবং এখন বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় স্থলবেষ্টিত হয়ে পড়ে।
মাতারবাড়ি বন্দরটিও মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দরের কাছাকাছি। এবং মিয়ানমারে প্রাকৃতিক জ্বালানি খাতে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *