বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দারুণ ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে অস্থিরতা কম। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ভালো পারফরম্যান্স করছে। এ বছর আমাদের পুঁজিবাজারে ৭৪.৬০ বিলিয়ন ডলার মূলধন বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর সে কারণেই ২০২০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সর্বোচ্চ রিটার্ন প্রদান করে বলে এএফসি দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) জাপানেরর রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৩ ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়ালস অফ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক রোডশোতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। এখনই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করার সঠিক সময়।
তিনি বলেন, আমাদের আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন। সে জন্য আমরা এখানে এসেছি। আমরা এখানে ঋণ বা সাহায্য নিতে আসিনি। বাংলাদেশে বিনিয়োগে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানো সক্ষমতা, আর্থিক ও রাজস্ব নীতি এবং বিনিয়োগবান্ধব সরকার, মুনাফাসহ বিনিয়োগ প্রত্যাবর্তনের জন্য কোন প্রাক-অনুমোদন নেই এবং সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি রয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, তিনি আরো বলেন, গত ৫০ বছরের বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। এ সমস্যটি ছিল আন্তর্জাতিক প্রপাকান্ডা, নেতিবাচক খবর, অপপ্যচার। বলা হতো, আমরা গরিব দেশ, শিক্ষার হার অনেক কম, নারী ও পুরুষের বৈষম্য, জ্বলালি স্বল্পতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতার অভাব রয়েছে। এগুলো সবই পুরোনো ধারণা, আসলে সেগুলো আর বিদ্যমান নেই। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল নেগেটিভ ১৪ শতাংশ। বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা ছিল ৯৮ শতাংশ। পার ক্যাপিটাল ইনকাম ছিল ১৪০ ডলার। আর ২০২২ সালে এসে জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৭.১ শতাশে। বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা কমে দাঁড়িয়েছে ২.৯০ শতাংশ। পার ক্যাপিটাল ইনকাম দাঁড়িয়ে ২ হাজার ৭৯৩ ডলার। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশে কি ধরণের পরিবর্তন হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে।
রোড শোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ বিএসইসির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।