সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশাল মেন্ডিসের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে শ্রীলংকা।
দলের হয়ে ৪৮ বলে ৮ চার আর একটি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এছাড়া ৩৬ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কায় ৫৯ রান করে ফেরেন কুশাল মেন্ডিস। মাত্র ২১ বল খেলে ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আসালঙ্কা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের জয়ে প্রয়োজন ১২০ বলে ২০৭ রান।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলংকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। পেসার শরিফুলের করা ইনিংসের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।
এরপর দলীয় ৩৭ রানে তাসকিন আহমেদের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নাামা কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি ১৪ বলে এক চার আর দুই ছক্কায় ১৯ রান করে ফেরেন।
তৃতীয় উইকেটে জুটিতে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ৬২তম টি-টোয়েন্টিতে ১৩তম ফিফটি হাঁকান মেন্ডিস।
১৪.৪ ওভারে দলীয় ১৩৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৫৯ রান করেন মেন্ডিস।
এরপর অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বলে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন সাদিরা সামারাবিক্রমা। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের ১৬তম টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সামারাবিক্রমা। তিনি ৪৮ বলে ৮ চার আর এক ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন সামারাবিক্রমা।
মাত্র ২১ বল খেলে ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আসালঙ্কা।