ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ফ্যাটি লিভার নামক নীরব ঘাতক ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতই। আমাদের খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকার সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে। এদিকে আমাদের প্রধান খাবার হলো ভাত অথবা রুটি। এই দুই খাবারেই কার্বোহাইড্রেট থাকে অনেক বেশি। যে কারণে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার ভয়টাও থাকে বেশি। মারাত্মক অসুখ হলেও ফ্যাটি লিভার নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেক কম। শুরুর দিকে এই রোগের লক্ষণ খুব বেশি বোঝা যায় না। কিন্তু এই সমস্যা থেকে লিভার সিরোসিস, লিভার ফেলিওর হতে পারে। যে কারণে সতর্ক হওয়া জরুরি।

লিভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গ খাবার হজমে, এনার্জি ধরে রাখতে, শরীর থেকে বিষ বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে ফ্যাটের আস্তরণ পড়লে বলা হয় ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এই অসুখের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। একবার অসুখ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রসুন

বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে রসুনের জুড়ি নেই। ওয়েব মেড জানাচ্ছে, রসুন ফ্যাটি লিভার রোগীদের জন্যও ভীষণ উপকারী। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে রসুন। এই মসলা ওজন কমাতে পারে বলে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়। তাই ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।

ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার

ফ্যাটযুক্ত খাবার মানেই ক্ষতিকর নয়। কিছু ফ্যাট থাকে যেগুলো শরীরের জন্য উপকারী। তেমনই একটি হলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে ওমেগা থ্রি। সেইসঙ্গে কমায় ট্রাইগ্লিসারাইডস। যে কারণে ওমেগা থ্রি যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও ফ্ল্যাক্সসিড, আমন্ড ও ওয়ালনাটে এই উপাদান পাওয়া যায়।

দিনে ২ কাপ কফি

কফির নানা উপকারিতার কথা শুনেছেন। নিজেকে চাঙা রাখতে এক কাপ কফি খেয়ে থাকেন অনেকেই। সেইসঙ্গে এটি ফ্যাটি লিভারের জন্য বেশি উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কফি পান করার মাধ্যমে লিভারের ক্ষত সেরে ওঠে। কফি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে বিপাক ক্রিয়া ঠিকমতো চলতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা দিনে দুই কাপ কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে তা হতে হবে ব্ল্যাক কফি।

ব্রকোলি

ব্রকোলির অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে একটি হলো এটি ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে উপকারী। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েডসে ভরপুুর। সেইসঙ্গে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যে কারণে নিয়মিত ব্রকোলি খাওয়া উপকারী। ব্রকোলি খেলে ফ্যাটি লিভার আক্রান্তরা উপকৃত হয়। ব্রকোলিতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাতান লিভারে থাকা ফ্যাট ঝরায় এবং নতুন করে মেদ জমতে বাধা দেয়।

গ্রিন টি

উপকারী পানীয় গ্রিন টি। এটি বিভিন্ন অসুখ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। এতে আছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা বিপাকের হার ঠিক রাখে। এই উপাদান শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে পারে। গ্রিন টি-তে থাকে ক্যাটাচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে উপকারী। নিয়মিত গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...