এপ্রিল ২৯, ২০২৪

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দামে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া মূল্যস্ফীতিতে বিশেষ সুখবর নেই। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশে। জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬।

বুধবার রাতে সর্বশেষ গত মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা এখনো ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশ লম্বা সময় ধরে দেখা যাচ্ছে। এটা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো বিষয়। মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমন্বিত উদ্যোগের অভাব আছে। গত মাসের যে মূল্যস্ফীতির হিসাব দেওয়া হয়েছে, সেটি মূলত গত বছরের ফেব্রুয়ারির সঙ্গে তুলনা করে। সেই হিসাবে গত বছরের ফেব্রুয়ারির উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বেড়েছে। এ চাপ সামাল দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।

মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব–নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া মানে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়ে যাওয়া। এমনিতে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির এ চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *