মে ৯, ২০২৪

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের যেই বহুতল ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন সেই ভবনটির মালিকপক্ষকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিনটি নোটিশ দেয়া হয়েছিলো বলে জানালেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দীন।

ভবনটির একেবারে কোন কমপ্লায়েন্স ছিল না উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আরও বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ভবনটিতে একাধিক রেস্টুরেন্ট ছিল। এছাড়া সিলিন্ডারও ছিল অনেক। এজন্য ভবনটি ছিল অগ্নিচুল্লির মতো। ফলে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা মারা গেছেন তারা আগুনে দগ্ধ না হয়ে অক্সিজেন স্বল্পতায় মারা যেতে পারেন।

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া ভবনটি কোনো বিল্ডিং কোড মানেনি, সব নিয়মের বাইরে এই ভবনটি।

এদিকে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন পিবিআই এসপি মিজানুর রহমান শেলী। তিনি জানান, ভবনের ভয়াবহ আগুন সিলিন্ডার অথবা গ্যাসলাইন থেকে ঘটে থাকতে পারে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নিনিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে।

এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা তার শোকবার্তায় নিহতদের মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি বেঁচে যাওয়াদের দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *