মে ১৯, ২০২৪

আসন্ন কোরবানিতে ১ কোটি ২৫ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু আছে। আর এতেই এবারের কোরবানি ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। দেশের পশুতেই মিটবে কোরবানির চাহিদা। ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে গরু প্রবেশে সীমান্তে কড়াকড়ি করায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও দেশের পশুতেই কোরবানির প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি অ্যাগ্রো পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ এ কথা বলেন।

নাহিদ রশীদ বলেন, গত ঈদুল আজহার চাইতে বেশি কোরবানি যোগ্য পশু এবার প্রস্তুত আছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গত বছর কোরবানি যোগ্য পশু ছিল ১ কোটি ২১ লাখ। কিন্তু গত বছর ঈদুল আজহায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এবার কোরবানি বাড়লেও পশুর সংকট হবে না। সুতরাং এবার দেশের বাইরে থেকে কোনো পশু আমদানির প্রয়োজন হবে না। তাই আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছি। এজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে, যেন বাইরে থেকে কোনো পশু না প্রবেশ করে।

প্রতিবছর কোরবানিতে খামারিরা অনেক ধরনের হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার হন এই প্রেক্ষিতে সচিব খামারিদের বলেন, ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু বিক্রেতা বা খামারি পর্যায়ে কেউ যেন অযথা হয়রানি বা চাঁদাবাজির শিকার না হন, সেজন্য ৯৯৯ এর বিষয়ে শরণাপন্ন হতে। এর বাইরে অন্য কোনো হটলাইন নম্বর যুক্ত করার প্রয়োজন থাকলে সেটিও আগামী ১৪ জুন আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় চূড়ান্ত করা হবে।

অন্যদিকে পশু খাদ্যের দাম কমানোর বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, এরই মধ্যে পশুখাদ্যের দাম কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখন কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর ঘাস উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দাম অনেকটা কমাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দুই-তিন মাস পর থেকে খাদ্যেদ্রব্যের দাম আরও কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।

এসময় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। খামরিরা তাদের নানা সমস্যা সচিবের কাছে তুলে ধরলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *