মে ৬, ২০২৪

সম্পদ বাড়িয়ে দেখানো নিয়ে জালিয়াতির একটি মামলায় নিউইয়র্কের এক আদালত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিলেন।

সোমবার ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেছেন, এই বিপুল পরিমাণ জরিমানা পরিশোধ করার মতো নগদ অর্থ তাদের মক্কেলের নেই। এমন অবস্থায় সম্পদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এ রিপাবলিকান নেতা।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতে পেশ করা এক আবেদনে জানান, তার একটি প্রতিনিধি দল বিশ্বের বৃহৎ বিমা কোম্পানির সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দর-কষাকষি করেছেন। কিন্তু এই পরিমাণ বন্ড দিতে খুব কম কোম্পানিই বিবেচনা করবে।

আইনজীবীরা আরও বলেন তারা আরও ৩০টি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন,কিন্তু সফল হননি। এই মামলায় ট্রাম্পের বড় দুই ছেলেকেও কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হবে।

সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, তাকে ফাঁসানোর জন্য মামলাটি করা হয়েছে। এই আকারের একটি বন্ড নিশ্চিত করা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব।

জালিয়াতির এই মামলায় ট্রাম্পকে জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি তিন বছরের জন্য নিউইয়র্কে ব্যবসা পরিচালনা করতেও নিষেধাজ্ঞা দেন বিচারক আর্থার এনগোরন। তুলনামূলক বেশি ঋণ সুবিধা পেতে সাবেক প্রেসিডেন্ট কারসাজি করে সম্পদ বাড়িয়ে দেখিয়েছেন, এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর এ আদেশ দেন বিচারক।

জরিমানার এই অর্থ পরিশোধ না করলে ট্রাম্পের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অঙ্গীকার করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল। অর্থ প্রদান না করা পর্যন্ত জরিমানার সুদ প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ ১২ হাজার ডলার করে যোগ হচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *