মে ২, ২০২৪

চোখ মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের অন্যতম। এটি খুব সংবেদনশীল অঙ্গও। আবহাওয়ার তারতম্যে চোখের স্বাস্থ্যের এদিক–ওদিক হতে পারে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য গ্রীষ্মকাল মাঝেমধ্যে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। তাপ ও ধুলাবালু নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এ সময় চাই চোখের বিশেষ যত্ন।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন অনেকে, কিন্তু চোখের দিকে সেভাবে খেয়াল থাকে না। তাপদাহ ও অতিবেগুনি রশ্মি চোখেরও অনেক ক্ষতি করে।

সমস্যা

চোখের অ্যালার্জি: অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও দূষণ এর অন্যতম কারণ। এ কারণে চোখ চুলকায় ও লালচে রং ধারণ করে। এমনকি রোদে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াও করে থাকে। এ ধরনের সমস্যা হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

চোখের অঞ্জলি: এ ধরনের সমস্যায় চোখের পাতা ফুলে যায়, লাল হয় ও ব্যথা অনুভূত হয়। এগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়ে থাকে।

চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া: গরমে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে চোখ শুকনো (ড্রাই আই) হতে পারে।

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব: বেশিক্ষণ ধরে রোদের মধ্যে কাজ করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে।

করণীয়

রোদ থেকে চোখকে বাঁচাতে রোদচশমা পরার বিকল্প নেই। রোদচশমা ব্যবহার করুন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে শতভাগ সুরক্ষা দেবে।
মাথায় হ্যাট কিংবা ছাতা ব্যবহার করুন।

চোখকে সরাসরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের (এসি) হাওয়া থেকে রক্ষা করুন। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যেখানে কাজ করেন, তার ঠিক সামনে এসি থাকা চলবে না।
চোখের বিশ্রাম দিতে প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

দীর্ঘ সময় চোখের কাজ করা বা ল্যাপটপ–কম্পিউটারে কাজ করার সময় বিরতি নিন ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন।

দিনের মধ্যে কয়েকবার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। এমনকি চোখে পানির ঝাপটাও দিতে পারেন। এতে চোখের ময়লা ভেতর থেকেই পরিষ্কার হবে।

বিশ্রামের সময় চোখের ওপর পাতলা করে কেটে নেওয়া শসার টুকরো রাখতে পারেন। এটি আপনার চোখ ঠান্ডা ও আর্দ্র রাখতে সহায়তা করবে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, গাজর, কলিজা ও বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *