মে ১৭, ২০২৪

খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী হাসপাতাল-ক্লিনিক কিংবা চিকিৎসক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

ডিবিপ্রধান বলেন, সম্প্রতি দুটি ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছায়া তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। আইনের স্বাভাবিক ধারায় প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। বাবা-মায়ের কোল থেকে শিশু এভাবে হারিয়ে যাবে, এটা কেউ মেনে নিতে পারে না।এটি একটি মারাত্মক গর্হিত কাজ।

তিনি বলেন, একসময় গ্রামাঞ্চলে সুন্নতে খতনায় কোনো বৈজ্ঞানিক পন্থা ছিল না। এতে কোনো শিশুর ক্ষতি কিংবা কেউ আহত হতো না। কিন্তু এখন তথাকথিত ভুয়া ক্লিনিক, যাদের কোনো লাইসেন্স নেই সেসব ক্লিনিকে শিশুদের অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে। অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগের পর দেখা যাচ্ছে শিশুদের জ্ঞান ফিরছে না। যারা অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করছেন তাদের সে সম্পর্কে কোনো সঠিক জ্ঞান আছে কি না- আমি জানি না।

ডিবিপ্রধান জানান, বাড্ডা থানায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। তিনি আবেদন করলে মামলাটি থানা থেকে ডিবিতে এনে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে।

সাংবাদিকরা ডিবিপ্রধানের কাছে জানতে চান- হাসপাতালগুলো অনেক বেশি প্রভাবশালী, কিন্তু যারা মামলার বাদী তারা অনেক নিরীহ। অনেক সময় প্রভাবশালীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। এ বিষয়ে ডিবির ভূমিকা কী?

জবাবে হারুন বলেন, যে মানুষটি তার আদরের শিশু সন্তানকে হারিয়েছে তিনি অনেক গরিব মানুষ। সেই সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। এ বিষয়ে ডিবি সব অসহায় মানুষের পাশে আছে। যারা দায়ী কাউকে ছাড় দেবে না ডিবি।

এদিকে রোববার ডিবি কার্যালয়ে সংস্থাটির প্রধান হারুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে লিখিত অভিযোগ দেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মামলা করলেও কোনো অগ্রগতি নেই। জড়িতদের কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাই আমি ডিবির শরণাপন্ন হয়েছি। আমি মনে করি, ডিবি আমাদের শেষ ভরসাস্থল।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *