মে ৯, ২০২৪

খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ পরিশোধ করলে গ্রাহক নিয়মিত করতে পারবে।

চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর থে‌কে ডিসেম্বর) যদি কোনো গ্রাহকের ঋণের কিস্তি ১০০ টাকা হয়, তার অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলেই সে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবে না।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ‘ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যেসব মেয়াদি ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগ হিসাব চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ছিল না তাদের বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর থে‌কে ডি‌সেম্বর) ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ডিসেম্বর মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই মেয়াদি ঋণ, লিজ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ (খেলাপি) করা যাবে না।

অপরিশোধিত কিস্তির অবশিষ্ট অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্বনির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সমকিস্তিতে (মাসিক/ত্রৈমাসিক) দিতে পারবে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে অবশিষ্ট মেয়াদকালের সঙ্গে বর্ধিত ১ বছর সময়কে বিবেচনায় নিয়ে কিস্তি পুনর্নির্ধারণপূর্বক নতুন সূচি অনুযায়ী আদায় করা যাবে।

ইসলামী শরীয়াহ্ ভিত্তিক মেয়াদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণগুলো যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করা হবে। সুবিধাপ্রাপ্ত মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে বর্ধিত সময়ের জন্য কোনরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যেনামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *