মে ২, ২০২৪

অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের শুরুটা হয় ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছবির মাধ্যমে। এ ছবিতে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন ইমরান হাশমি। ছবিতে ছিল বেশ কিছু সাহসী দৃশ্যও। ২০০৫ সালে দাঁড়িয়ে যা অনেকের নজর কেড়েছিল। তারপর ‘চকোলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস’ (২০০৫) এবং ‘গুড বয়, ব্যাড বয়’ (২০০৭) ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন তারা।

২০১৮ সালে এই অভিনেত্রী বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর ‘মিটু’ বিতর্কে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াসহ পুরো ভারত। ফের নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে তার নাম। তার রিল শেয়ার হতে না হতেই ভাইরাল হয়ে যায়।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার একটি রিল শেয়ার করলেন তনুশ্রী, যা স্মৃতির খাতা বেয়ে তাকে নিয়ে গেল আশিক বানায়া আপনের সময়ে। ইশান মাসিহ নামে এক ভিডিও ক্রিয়েটারের সঙ্গে তাকে নাচতে দেখা গেল এই অভিনেত্রীকে। পরেছিলেন একটি ক্রিম রঙের গাউন। কোমরে কালো বেল্ট। চুল খোলা। বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থাতেই নাচছিলেন তারা। রিল ভিডিওটি শেয়ার হতে না হতেই ভাইরাল। একজন কমেন্ট করে লিখলেন, ‘আমি তো চিনতেই পারিনি। কত বদলে গেছে’! আরেকজনের মন্তব্য- ‘অনেকটা ওজন বেড়েছে। তবে হ্যাঁ, মুখের এক্সপ্রেশন একইভাবে সেক্সি’। তৃতীয়জন লিখলেন- ‘চুমুটা মিস করছি। এবার এই নকল ইমরান হাশমিকে একটা চুমু খেয়ে নিন।’

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীকে বলতে শোনা যায় ইমরানকে চুমু খাওয়া নাকি খুব একটা স্বস্তিকর ছিল না তার জন্য। তিনি বলেন, ‘ইমরান আমার জন্য বরাবরই একজন সহ-অভিনেতা। আমি তার সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি। ‘চকোলেট’-এও একটি চুম্বন দৃশ্যের শুটিং ছিল। সেটা যদিও পরে ব্যবহার করা হয়নি। প্রথমে চুমুর দৃশ্য আমার জন্য একেবারেই স্বস্তিকর ছিল না। পরে অস্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়ে। আমাদের পর্দার বাইরে কোনো রসায়নই নেই। ওর একটা কিসার বয় ইমেজ থাকলেও চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুব একটা সাবলীল নন, আমিও নই।’

বলিউড থেকে বিদায় নিয়ে, তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেন। আর তা শেষ হলে মার্কিন মুলুকে চাকরি করছিলেন। ২০১৮ সালেই ইউএসের গ্রিন কার্ড পেয়েছেন তনুশ্রী দত্ত। তবে বেশিদিন মন টেকেনি সেখানে। ফিরে আসেন ভারতে। ২০১৮ সালেই মি টু মুভমেন্টের সময় নানা পটেকর, গণেশ আচার্যদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন তনুশ্রী দত্ত।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *