মে ১৯, ২০২৪

সম্প্রতি একটি ইংরেজি সংবাদপত্র পুরস্কারপ্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্পন্সর করেছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। বিষয়টি জানতে পেরেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন তামিলনাড়ুর এক দলিত নারী কবি।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২ জন কৃতী নারীকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন দলিত সাহিত্য নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করা তামিল কবি সুকিরথারানিও। পুরস্কার গ্রহণের বিষয়ে আয়োজকদের প্রাথমিকভাবে সম্মতিও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

পরে জানতে পারেন এই পুরস্কারটি আদানি গোষ্ঠী ‘স্পনসর’ করছে। তারপরই ‘আদানিদের টাকায় কেনা পুরস্কার’ গ্রহণ করবেন না বলে আয়োজকদের জানিয়ে দেন সুকিরথারানি।

তিনি বলেন, আমি যে দর্শনে বিশ্বাস করি এবং যে দর্শন জীবনে মেনে চলি, এই পুরস্কার নিলে তারই বিরুদ্ধাচরণ করা হবে।

একটি সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, অনেক পরে তিনি জেনেছিলেন যে ‘দেবী’ নামক এই পুরস্কারটির স্পনসর আদানি। খবর পাওয়ামাত্রই তিনি পুরস্কার নেওয়ায় তার অপারগতার কথা জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে তামিল ভাষায় একটি ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি।

একটি ইংরেজি দৈনিককে সুকিরথারানি বলেন, পুরস্কার নেওয়ার এক দিন আগেই আমি খবর পেলাম যে, এটির স্পনসর আদানি গোষ্ঠী। আদানি গোষ্ঠীর টাকায় কেনা পুরস্কার নিয়ে আমি খুশি হতে পারতাম না। আমি আমার লেখায় যে দর্শন, আদর্শ এবং রাজনীতির কথা বলি, তার সঙ্গে ওটা যায় না।

দলিত সাহিত্য এবং নিপীড়িতদের জীবনযাপন নিয়েও মুখ খুলেছেন সুকিরথারানি। আর পাঁচ জন নারীর তুলনায় দলিত নারীদের জীবনসংগ্রাম যে আরও কঠিন, তা-ও নিজের লেখায় বার বার ফুটিয়ে তুলেছেন। তার কথায় উঠে এসেছে মহাশ্বেতা দেবীর লেখার প্রসঙ্গও। নারীর শরীরের অধিকার এবং নিপীড়িতদের জীবনযন্ত্রণাকে একই চোখ দিয়ে দেখার কথা বলেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তামিলনাড়ুর একটি স্কুলেও পড়ান তিনি।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *