নভেম্বর ১৭, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এসপি কেমিক্যাল কারখানার ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। ১২টি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নির্বাপণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের তিনগাঁও এলাকায় অবস্থিত এসপি কেমিক্যাল কারখানায় ওই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আড়াইহাজার, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন ও ডেমরাসহ ৬-৭টি স্টেশনের মোট ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এসপি কেমিক্যালস্ লিমিটেডের কারখানাটিতে মূলত বিভিন্ন অর্গানিক কেমিক্যাল থেকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করা হয়। ট্রাই মিথাইল, বেনজিন, পটাশিয়াম কর্বোনেট ও ফসফরাসসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রক্রিয়াকরণের সময় পাওয়ার প্ল্যান্টে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দে গুদামে কর্মরত শ্রমিকরা ছুটে বেরিয়ে আসে। প্ল্যান্ট থেকে ঠিক ৪০-৫০ গজের মধ্যেই হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের গুদামটি অবস্থিত। প্ল্যান্ট থেকে যেন গুদামে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে সেবিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করেছে ফায়ার ফাইটাররা। তবে সাধারণ আগুনের চেয়ে এই তাপের তীব্রতা বেশি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরে আরো ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিলে মোট ১২টি ইউনিটের সমন্বিত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লেফট্যানেন্ট তাজুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতি বলেন, আমরা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কেমিক্যালের আগুন সাধারণ আগুনের মতো নয়। এর তীব্রতা কয়েক গুণ বেশি হয়। আজকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং রোবট বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো হবে।

একই সময়ে নারায়ণঞ্জের দুটি স্থান- রূপগঞ্জের নান্নু স্পিনিং মিল ও আড়াইহাজারে এসপি কেমিক্যাল কারখানায় আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের বেগ পেতে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে একই দিনে পৃথক দুইটি স্থানে আগুন লাগায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। দুই জায়গাতেই ইউনিট বাড়ানো হয়েছে। আড়াইহাজারের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সচেতনতা ও সক্ষমতায় আগুন প্ল্যান্ট থেকে গুদামে ছড়াতে পারেনি। এই প্রতিষ্ঠানের ফায়ার সার্ভিসের এনওসি আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...