ডলার সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরপরেও সংকট কমছে না। উত্থান-পতনের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী আয়। চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসীরা ১৪১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৮ টাকা ধরে প্রতি ডলার হিসাব করলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের প্রথম ২৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১১ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা এর আগের মাসের তুলনায় ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এরপরে মার্চ মাসে ২০২ কোটি ডলার এবং এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১ হাজার ৭৩০ কোটি ডলার।
এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
একই সাথে হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সামনে রয়েছে ঈদুল আজহা। এ কারণে আগামীতে রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণ আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।