ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

বাইশগজে নিত্যনতুন অনেক রেকর্ড হচ্ছে, কেউবা আবার বীরদর্পে ভেঙেও দিচ্ছে সেইসব রেকর্ড। তবে অনেক রেকর্ডই বছরের পর বছর ধরে অক্ষত থেকে গেছে। ১২৩ বছর ধরে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে তেমনই এক বিরল রেকর্ড। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গল্প।

অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে স্নায়ুচাপের শিকার হননি এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহায়েৎ কম নয়। অনেক তারকা ক্রিকেটারকেও ক্যারিয়ারজুড়ে স্নায়ুচাপের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবে বিপরীত চিত্রও দেখা যায় কখনো কখনো। ইংলিশ ক্রিকেটার পেলহ্যাম ওয়ার্নার তেমনই একজন। আবির্ভাবেই এমন আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি, যা আজও রয়ে গেছে অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে!

১৮৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের পেলহ্যাম ওয়ার্নার জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ১৩২ রানের এক লড়াকু ইনিংস খেলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ১৪৫ রানে। সেই পিচে কেউ ৩০ রানের গন্ডি টপকাতে পারেননি। নবাগত ওয়ার্নারও ২১ রান করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা অ্যালবার্ট ট্রটের (৪/৬১) বোলিং সামলে ১০৬ রানে এগিয়ে যায় মূলত জিমি সিনক্লেয়ারের ৮৬ রানের ইনিংসের বদৌলতে।

ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দফায় একটা মোক্ষম চাল দেয় নবাগত ওয়ার্নারকেই ওপেন করতে পাঠিয়ে। চালটা শুধু ‘ক্লিক’ করেনি, ওয়ার্নারকেও যেন অবিনশ্বর কীর্তি গড়ে তোলার পথে একধাপ এগিয়ে দেয়। সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ওয়ার্নার অনবদ্য অপরাজিত সেঞ্চুরি (১৩২) করেন।

সেই সঙ্গে এক অবিনশ্বর রেকর্ডও গড়ে ফেলেন। ক্রিকেট বিশ্বে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি এবং সেই সঙ্গে ‘ক্যারিং দ্য ব্যাট’অর্থাৎ ইনিংসের গোড়াপত্তনে এসে শেষপর্যন্ত নট আউট থেকে যাওয়ার যৌথ কীর্তি গড়েছেন! ১২৩ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে যে রেকর্ডটা। ইংল্যান্ড শেষপর্যন্ত টেস্টটা জিতেছিল ৩২ রানে।

পরবর্তীকালে ‘স্যার’ উপাধি পাওয়া ওয়ার্নার ১৯৬৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...