মে ১৯, ২০২৪

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান বলেছেন, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা তার দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরোধী। তিনি বলেন, দেশের জ্বালানির প্রয়োজন মেটাতে রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে হয় হাঙ্গেরিকে।

গত শনিবার রাজধানী বুদাপেস্টে দেওয়ার বক্তৃতায় অর্বান বলেন, ‘রাশিয়ার সাথে আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখব। বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকেও আমরা একই প্রস্তাব দিচ্ছি।’

এসময় তিনি রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিজ্ঞা করেন। যদিও রাশিয়ার সাথে বজায় রাখা এমন সম্পর্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার বিরোধী জোটের পরিপন্থি।

ডানপন্থি নেতা ভিক্টর অর্বান বলেন, ‘রাশিয়া হাঙ্গেরি এবং ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে যে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তাকে বাস্তবসম্মত মনে করছে না সরকার।’

বক্তৃতায় রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয় উল্লেখ করে অর্বান বলেন, ‘যদিও হাঙ্গেরি ইউক্রেনে সহায়তা পাঠিয়েছে এবং ইউক্রেনের শরণার্থীদের জায়গা দিয়েছে তার মানে এই নয় যে, আমরা রাশিয়া সাথে সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। কারণ এটি হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থের বিরোধী।’

তাছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য তিনি ইউরোপকে দায়ী করেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার পরিবর্তে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করে এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি আরেও খারাপ করে তুলা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি আলোচনায় প্রাধান্য পায়। সম্মেলনে জার্মানির পরারাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আগামীকালই থেমে যাবে যদি প্রেসিডেন্ট পুতিন তার সৈন্যদের সরিয়ে নেয় এবং হামলা বন্ধ করে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেন। সম্মেলনে উপস্থিত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তার দেশের পক্ষ থেকে একটি শান্তি প্রস্তাব আসতে পারে।’

সম্মেলনের শেষদিন রোববার ইউরোপের নিরাপত্তার বিষয়টি নেতাদের আলোচনায় প্রাধন্য পায়। রোববার দিনের প্রথম সম্মেলনে ‘ভিশনস ফর দ্য ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি’ শিরোনামে আলোচনায় অংশ নেয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের উচ্চ পর্যাযের কূটনীতিকরা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *