ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিভিন্ন উপায়ে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদিত হয়। কিন্তু এই ভিটামিনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো সূর্যালোক। যার কারণে এই ভিটামিনকে সানশাইন ভিটামিনও বলা হয়ে থাকে। যেহেতু শীতকালে সূর্যের তাপমাত্রা কম থাকে অন্যদিকে আমরা দীর্ঘসময় ধরে সোয়েটার বা জ্যাকেট পড়ে থাকি তাই আমাদের শরীরে সূর্যের তাপ পৌঁছাতে পারে না। তাই প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর উৎপাদন কমে যায় এবং এর ঘাটতি দেখা দেয়।
অন্যদিকে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যোগায় যা আমাদের দাঁত, হাড় এবং পেশির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। যার ফলে অস্টিওপরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের মতো রোগ দেখা যায়। ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত অভাব হলে আরো অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। ভিটামিন ডি শিশুদের জন্য আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। জেনে নিন শীতকালে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি মেটাতে কী করবেন-
বাইরে বের হোন
সূর্যের আলো পেতে বাইরে বের হতে হবে। কারণ সূর্যালোক ভিটামিনের সবচেয়ে বড় উৎস। তাই শীতকালে প্রতিদিন যখন সূর্যের তাপ পাওয়া যাবে তখন বাইরে বের হোন। বাইরে বের হয়ে তা গ্রহন করলে ভিটামিন ডি শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হবে। যদিও কতক্ষণ রোদ নিলে এই ঘাটতি পূরণ হবে তা পরিষ্কার নয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ৮-১৫ মিনিটের রোদ আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করতে যথেষ্ট।
সূর্যের তাপ ভিটামিন ডি উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেয়েও এর ঘাটতি কিছুটা পূরণ করা সম্ভব।
যেসব খাবার থেকে পাবেন ভিটামিন ডি
* তৈলাক্ত মাছ যেমন, স্যামন, সার্ডিন
* মাশরুম
* রেড মিট
* ডিমের কুসুম
* চিজ
* ফর্টিফাইড ফুড যেমন গরুর দুধ, কমলার জুস, সয়ামিল্ক, ওটমিল ইত্যাদি।
সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যাবে?
যদি এসব খাবার ও সূর্যের আলো দিয়েও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ভিটামিন ডি নিতে পারেন।
ভিটামিন ডি এর ঘাটতির লক্ষণ
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, ভিটামিন ডি এর অভাবের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। যে লক্ষণগুলো দেখে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বুঝবেন। যেমন-
*ক্লান্তি
* হাড়ের ব্যথা
* পেশী দুর্বলতা, পেশী ব্যথা
* মেজাজ পরিবর্তন, যেমন বিষণ্নতা
তবে সবসময় এগুলো ভিটামিন ডি এর ঘাটতির লক্ষণ নাও হতে পারে । তাই এই ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে পরীক্ষা করে নেয়াই ভালো।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে