ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি সংস্থার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানেই তিনি চীনের প্রসঙ্গ তোলেন। শি জিনপিংকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি ‘একনায়ক’ বলে সম্বোধন করেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা একটি বেলুন ধ্বংস করেছিল। অভিযোগ, ওই বেলুনটি আমেরিকার আকাশে উড়তে দেখা গেছিল। সেটি ধ্বংস করার পর ভিতরে বহু জিনিস পাওয়া গেছে, যা গুপ্তচরেরা ব্যবহার করেন। আমেরিকার অভিযোগ, বেলুনটি চীনের। বেলুনে করে তারা গুপ্তচরদের জন্য জিনিস পাঠাচ্ছিল।
এদিন বাইডেন বলেছেন, শি জিনপিংয়ের মতো একনায়কের এই ঘটনায় কষ্ট পাওয়ার কথা। তিনি নিশ্চয় পেয়েছেন। বেলুনটি যে ওই জায়গায় পৌঁছে যাবে, তা তিনি জানতেন না। ওই বেলুন ধ্বংস করে চীনের গুপ্তচরদের জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। শি জিনপিংয়ের পুরো ঘটনাটি মনে লেগেছে।
আমেরিকার এই বেলুন ধ্বংস করার ঘটনা এবং তাইওয়ানে আমেরিকার যাতায়াত সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বাইডেনের দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ করেছে। বস্তুত, করোনার সময় থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পর বাইডেনের আমলেও সম্পর্কের কোনো উন্নতি হয়নি।
এরই মধ্যে দুই দিনের বেইজিং সফরে গেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মনে করা হচ্ছিল, ব্লিংকেনের সফর দুই দেশের সম্পর্ক খানিকটা হলেও ভালো করবে। তাইওয়ান সমস্যা, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ-সহ একাধিক বিষয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্লিংকেন। প্রায় পাঁচ বছর পর এত বড় পদের কোনো মার্কিন কর্মকর্তা চীন সফর করলেন। ব্লিংকেনের সফরের পর মনে করা হচ্ছিল, সম্পর্ক উন্নতির একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাইডেনের মন্তব্য বুঝিয়ে দিল, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি