

পবিত্র রমজান মাসের জন্য মক্কা নগরীর ১২ হাজার ১০৪টি মসজিদ পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে শহরের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ৪৬০টি মসজিদ।
রমজানের চাঁদ দেখা গেলে রোববার থেকে সৌদিতে শুরু হবে মহিমান্বিত এ মাস। আর চাঁদ না দেখা গেলে সোমবার রাতে সেহরি খেয়ে মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখবেন সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মুসল্লিরা।
রমজানকে সামনে রেখে মক্কার ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব মসজিদ প্রস্তুত করেছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সবগুলো মসজিদ পরিষ্কার করা হয়েছে, কার্পেট বিছানো হয়েছে, সুগন্ধি ছিটানো হয়েছে এবং পুরুষ ও নারীদের নামাজের স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে।
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে বেশি মানুষ ওমরাহ পালনে মক্কায় আসেন। এ সময় কাবা প্রাঙ্গনে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ে।
রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই সৌদির ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইফতারের জন্য কোনো ধরনের অর্থ সংগ্রহ করা যাবে না।
মসজিদের ভেতর কোনো ইফতার করা যাবে না। কারণ এতে মসজিদের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হয়। তবে মসজিদের আশপাশের খালি জায়গায় ইফতার আয়োজন করা যাবে।
নামাজ চলাকালে মসজিদে কোনো ধরনের ভিডিও করা যাবে না এবং নামাজ কোনো মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
এছাড়া সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আজান দেওয়ার জন্য এবং আজান দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইমামদের তারাবিহর নামাজ পড়ানো নিয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তারাবির নামাজ দীর্ঘ করা যাবে না এবং রমজানে মসজিদে যে খুতবা বা বক্তব্য দেওয়া হবে সেগুলোর রোজার ওপর দিতে হবে। যেন রোজাদাররা এতে উপকারিত হতে পারেন।