তিনি না আসতে পারছেন টিভির সামনে, না বলতে পারছেন এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। এর থেকে বড় যন্ত্রনা কিংবা কষ্টের আর কি হতে পারে ?
একজন মানুষকে তীব্র যন্ত্রনা দেওয়ার আদি এক যন্ত্র চরিত্র নিয়ে “মিথ্যাচার”। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে অপপ্রচার আরো সহজ হয়ে গিয়েছে। সিন্ডিকেট করে সম্মানিত ব্যক্তিদের চরিত্রহানি করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি, প্রযুক্তির যুগে এমন অপরাধে জড়িয়ে পরছে অনেকে।
চক্রটির মূল টার্গেট সমাজের বিত্তশালী ব্যবসায়ী, ঊদ্ধতন সরকারি কর্মকর্তারা। সামান্য বিষয়কে তিল কে তাল বানিয়ে প্রচার করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি চক্রটি মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
র্যাবকে জড়িয়ে এমনই এক মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন ব্যারিস্টার গোলাম মারুফ মজুমদার (নিঝুম মজুমদার)। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
“মেজর নাভিদ কায়সার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক অকুতোভয় সদস্য। মানুষটার সাথে আমার যখন প্রথম কথা হয় এবং আমি আমার টিম নিয়ে যখন ফিরে আসি, আমাদের প্রত্যেকের মুখেই আর কোনো কথা ছিল না। দলের প্রত্যেক সদস্যের একটাই কথা, ‘এমন একটা লোককে এরা এত ভয়ংকর করে দেখিয়েছে?’
আমি গত ৪/৫ টি দিন যেই হিসেব মেলাতে হিমশিম খাচ্ছি সেটা হচ্ছে, ‘হোয়াই নাভিদ কায়সার?’। ডয়েচে ভেল নিয়ে কাজ করতে গিয়েই টের পেলাম আমাদের সামনে উপস্থিত হওয়া অসংখ্য চরিত্র আছে যাদের নিয়ে অনেক আলাপ সম্ভব। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে কেন এই নাভিদ কায়সার? ঠিক কি কারণে? কেন?
খুঁজতে খুঁজতে অনেক অংকের সমাধান হতে লাগলো। আমি মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিকে অংকে কাঁচা ছিলাম, এটা ঠিক। কিন্তু যুক্তি আর তদন্তের অংক আমার ঠিকি মিলে যায়।
মেজর নাভিদ কায়সারের একটা কথা আমাদের টিমের কাছে বড় যন্ত্রণার মনে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যা আমি তা আমাকে বললে আমি হয়ত মেনে নিতে পারি। কিন্তু যা আমি নই, তা আমাকে বললে আমার যন্ত্রণা হয়’
বাংলাদেশ সরকারের সার্ভিসে যারা থাকেন, বিশেষ করে এমন সব বাহিনীগুলোতে, তাঁদের জন্য আমার আসলেই এক ধরনের কষ্ট হয়।
এই যে এত অপঃপ্রচার, এত মিথ্যাচার এই আপাদমস্তক ভদ্রলোকটাকে নিয়ে, তিনি না আসতে পারছেন টিভির সামনে, না বলতে পারছেন এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। এর থেকে বড় যন্ত্রনা কিংবা কষ্টের আর কি হতে পারে?
মেজর নাভিদ অনেকটা কষ্ট নিয়েই আমাকে বললেন, ‘জানেন নিঝুম ভাই, আমি নাকি কজ অফ থ্রি খেলতে খেলতে নাফিজ সাহেবকে মেরেছি’
‘অথচ কজ অফ থ্রি ঠিক কিসের গেইম এটা বুঝার জন্য আমাকে গুগোল করতে হইসে’
আমরা উপস্থিত সবাই হাসি…রাস্তায় নেমে টিমের বাকি সদস্যদের বলি। তারাও হাসে…পুরো রাস্তা আমরা হাসি আর কষ্টের এক অদ্ভুত অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হই।
এই মানুষটা স্রেফ একটা অপরাধীকে ধরতে অপারেশনে গিয়েছিলেন। একটা ড্রাগ লর্ড, একটা পর্ন মেইকার, একটা খুনীকে।
অথচ আজকে স্যুট টাই পরে সেই ছেলেটা ডয়েচে ভেলেতে বক্তব্য দেয়, আর দেশের জন্য জীবন উতসর্গের শপথ করা মেজর নাভিদ কায়সাররা যন্ত্রণা নিয়ে বসে থাকে।
কি করে আমরা সমস্ত রহস্যের জাল খুলেছি তা জানতে চোখ রাখুন শুরু হোক কথা বলাফেসবুক পেইজে।