নভেম্বর ১৫, ২০২৪

দেশে ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি)। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বাংলা ইশারা ভাষা প্রচলন, বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়ন’। দিবসটি উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে বাংলা ইশারা ভাষাকে অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণা দেন। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৭ ফেব্রুয়ারিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে জাতীয় বধির সংস্থা এ দেশে সর্বপ্রথম শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ১৯৯২ সালে বাংলা ইশারা ভাষা ও বিধান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে। ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা বা প্রতীকী ভাষা বলতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশেষ করে হাত ও বাহু নড়ানোর মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়।

বিজ্ঞজনেরা বলেন, অল্প করে হলেও দেশে ইশারা ভাষা ব্যবহার শুরু হয়েছে, কিন্তু তার কোনো মানদণ্ড নেই। বেসরকারিভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করছে। তাই সরকারের ইনস্টিটিউট যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব নিলে একটি মানসম্পন্ন ইশারা ভাষার প্রচলন হবে। আর হাসপাতাল, আদালত ও রেল স্টেশন, বিমানবন্দরে ইশারাভাষী নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সরকারিভাবে দিবস পালন ছাড়া আর কোনো উন্নয়ন হয়নি ইশারা ভাষা বা এই ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর। বাক-শ্রবণপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশাপাশি অটিস্টিক, নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে ইশারা ভাষার ব্যবহার করে সবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। এর মধ্যে কার্যক্রমে আসা বাক্প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮১৯ জন এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন। এই বৃহৎ জনগোষ্টির মানুষগুলো ইশারা ভাষা দিয়ে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। তবে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে এই মানুষগুলো ইশারা ভাষা সব ক্ষেত্রে সব সময় ব্যবহার করতে পারছে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...