দ্বিতীয়বারের মতো বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসে কিছুটা স্বস্তি এনেছে পুঁজিবাজারে । প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশনের যুগোপযুগী এই সিদ্ধান্তের ফলে বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
ইউক্রেন রাশিয়ার মধ্যেকার সংঘাত বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থির করে তুলে। যার ফলে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের পুঁজিবাজারে পতন দেখা দেয়। তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার হত্তক্ষেপে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। প্রশংসনীয় এই প্রদক্ষেপ পুঁজিবাজারের পতন রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করেছে ।
ফ্লোর প্রাইস পুঁজিবাজারের লেনদেনে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও দেশের বৃহৎ মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান পুঁজিবাজার সংশ্লিদের বড় একটি অংশ। তবে যারা দীঘদিন বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটপাটে জড়িত ,যাদের কারণে দীর্ঘদিন পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না তাদের কে মনক্ষুন্ন হতে দেখা যায়।
বিশ্বের অনান্য দেশের পুঁজিবাজারের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ফ্লোর প্রাইস থেকে বাড়ছে শেয়ারের দাম। প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারমুখী হচ্ছেন , আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্লোর প্রাইসে বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সুরক্ষা নিচ্চিত করাতে স্বস্তিতে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে উৎসবমুখর বিনিয়োগকারীরা। অনেক বিনিয়োগকারী উৰ্ধমুখী পুঁজিবাজারে মুনাফা নিয়েছেন ,তবে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করতে না পারলেও তারাও আশায় রয়েছেন ঈদের পর ফ্লোর প্রাইস ভেঙে গেলে তাদের শেয়ারও লেনদেন করতে পারবেন।
ডিএসইর সূত্র মতে, সোমবার ডিএসইতে ৭৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন রোববার ৬৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১২৮টির এবং কমেছে ৪৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০০টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৪৪ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯২ দশমিক ৮২ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে।